প্রকাশিত: ১৯/১০/২০১৪ ১০:০৪ অপরাহ্ণ
বদি মুক্তি আন্দোলনের গডফাদাররা উধাও

teknaf_bg_banglanews24_174038447_2

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম : দুদকের মামলায় কারাবন্দি টেকনাফ-উখিয়ার সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির জামিনের আবেদন বাতিল হওয়ায় নিস্তেজ হয়ে গেছে ‘বদি মুক্তি আন্দোলনের সব সম্ভাবনা।

অন্যদিকে ১৬ অক্টোবর বদিকে কারাপ্রকোষ্টে পাঠানোর আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের যেসব ইয়াবার চিহ্ণিত গড ফাদার প্রকাশ্যে এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন হঠাৎ করেই তারাও যেন উধাও হয়ে গেছেন।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ও সংশ্লিষ্টদের ঘনিষ্ঠজনদের বক্তব্য অনুযায়ী, এমপি বদির জামিন না মঞ্জুরের পর যে সব ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করেছিলেন তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন।

একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ তালিকাভুক্ত এসব গড ফাদারদের ছবি বাংলানিউজে প্রকাশের পরই আন্দোলনের পালে ভাটা লাগে এবং আতঙ্কিত গড ফাদাররা আত্মগোপনে চলে যান।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, সংসদ সদস্য বদি সরকার দলীয় সংসদ হওয়ায় এবং চট্টগ্রাম ভিত্তিক আর্ন্তজাতিক মাফিয়াদের স্নেহভাজন হওয়ায় অল্প দিনে খুবই ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। একই সঙ্গে বৃহত্তর চট্টগ্রামের একাধিক বর্তমান এবং সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় নেত‍াদের খুব কাছে পৌছে যান তিনি। একই সঙ্গে প্রশাসনেও তিনি কর্তাব্যক্তিদের অনৈতিক ব্যবসার ফাঁদে ফেলে স্বার্থ উদ্ধ‍ারে চাতুর্য দেখিয়ে স্থানীয়দের তাক লাগিয়ে দেন। এ অবস্থায় আদালত বদিকে আটকের নির্দেশ দেন ও পরবর্তীতে জামিন না মঞ্জুর সকলের কল্পনার বাইরেরই বিষয় ছিল। এ অবস্থায় তার কাছের মাদক, মানব পাচার ও চোরাচালানের গড ফাদারদের কাছে বিষয়টি রীতিমত আতংকের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, এমপিকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করতে শুরু করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীর একটি অংশ নানাভাবে বদির মুক্তির পক্ষে আন্দোলনে মাঠে নামে। অনেকটা জোর করেই তারা সাধারণ মানুষকে আন্দোলেনে সম্পৃক্ত করে এবং দোকানপাট বন্ধ রাখতে বাধ্য করে।

এসব ইয়াবা ব্যবসায়ী বদি মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে জমায়েতের জন্য নগদ টাকা বিতরণ করে নানা আন্দোলন ও আলটিমেটাম দেয়। ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এমপি বদি আদালতে জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু জামিন না মঞ্জুর হওয়ার পর পাল্টে গেছে উখিয়া-টেকনাফের দৃশ্য।

teknaf_inner1_banglanews24_765718079
এখন আন্দোলনকারিদের কাউকে টেকনাফে দেখা যাচ্ছে না। গত ১২ অক্টোবর রোববার ঢাকায় আদালতে এমপি বদি দুদকের একটি মামলায় আত্মসমর্পন করেন। এতে আদালত তার জামিন না মনজুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

টেকনাফ থেকে স্থানীয় লোকজন জানান, ঢাকায় কারাগারে অবস্থান নিয়ে এমপি বদি মোবাইল ফোনে কথা বলেন টেকনাফের বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে। এমপি তাদের নিদের্শনা দেন আন্দোলন করার। টেকনাফ অচল করে দিলে তাকে জামিন দেওয়া হবে বলে নিদের্শনা দেন। ওই নিদের্শনা মতে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একটি অংশ মোটা অংকের টাকা নিয়ে আন্দোলনে নামেন।
teknaf_bg_banglanews24_174038447_2
কিন্তু, বৃহস্পতিবার আদালতে এমপি বদির জামিন না মঞ্জুরের পর টেকনাফের দৃশ্য পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন আর টেকনাফে বদির মুক্তির আন্দোলনের দেখা নেই।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত 

পলাশ বড়ুয়া:: কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ভাষা দিবসের কর্মসূচিতে রোহিঙ্গা ...